স্যাটেলাইট 
মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, বিশেষ করে কমিউনিকেশন (যোগাযোগ) এর কাজে স্যাটেলাইট অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় । বেশিরভাগ টেলিভিশন চ্যানেল তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এর মাধ্যমে । তাছাড়া ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন সংযোগ, উড়ন্ত বিমানে নেটওয়ার্ক প্রদান, দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক প্রদান, জিপিএস সংযোগসহ বিভিন্ন কাজে স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হয় । এক কথায় স্যাটেলাইট ছাড়া আধুনিক সভভতা কল্পনাই করা যায় না।
images (1)
স্যাটেলাইট কি এবং কোথায় থাকে ?
স্যাটেলাইট মহাকাশে পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকে। যেহেতু মহাকাশে বায়ুর অস্তিত্ব নেই তাই এটি বাধাহীনভাবে পরিক্রমণ করে । কৃত্রিম উপগ্রহগুলো বৃত্তাকারে পরিক্রমণ করে না, তার গতি পৃথিবীর আকারের মতো ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে। টিভি ও বেতারসংকেত প্রেরণ এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইট সাধারণত পৃথিবীথেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে। স্যাটেলাইট যেভাবে কাজ করে পৃথিবী থেকে আপ লিংক স্টেশন এর মাধ্যমে উচ্চ বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে তথ্য পাঠানো হয়, স্যাটেলাইটসেগুলো গ্রহণ করে এবং বিবর্ধিত (এমপ্লিফাই) করে ডাঊন লিঙ্কের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রেরণ করে । স্যাটেলাইটদুইটি ভিন্ন কম্পাঙ্কের তরঙ্গ ব্যবহার করে সিগনাল (তথ্য) গ্রহণ এবং পাঠানোর জন্য । স্যাটেলাইটথেকে পৃথিবীতে আসা সিগনাল অনেক দুর্বল বা কম শক্তিসম্পন্ন হয়ে থাকে, তাই প্রথমে ডিস এন্টেনা ব্যবহার করে সিগনালকে কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং পরে রিসিভার দিয়ে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হয় ।
স্যাটেলাইটের আকার ।
আপনার মনে কি স্যাটেলাইট নিয়ে কোন প্রশ্ন জাগে যে একটি স্যাটেলাইটের আকার কেমন হয় ? , একটি ওয়াশিং মেশিনের মতো ,একটি প্রাইভেট কারের মতো না একটি বাসের মতো ? 2010 সালে নাসা (NASA) NROL-32 নামের একটি স্যাটেলাইটNROL-32b_ULA_21NOV2010মহাআকাশে অবতরণ করে , যার এন্টেনা ৩২৮ ফিট বা ১০০ মিটার লাম্বা ।   প্ল্যানেট ল্যাব ২০১২ সালে ফোল্ক-১ এটি মূলত ২৮ টা ক্ষুদ্র স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে গঠিত , এই সমন্বিত অংশের নাম দেওয়া হয় ডোভস-১ ।
cs1ডোভস -১ স্যাটেলাইটের আকার একটি জুতার বক্সের থেকেও ছোট্ট ,এবং এটি বর্তমানে ডোভস-১ পৃথিবীর একমাত্র ক্ষুদ্রাকৃতির স্যাটেলাইট । এই স্যাটেলাইট মূলত ম্যাপিং এবং ইমেজিং করার কাজে তৈরি করে প্ল্যানেট ল্যাব ।
images
ডোভস-১ স্যাটেলাইটের মিশন হোল প্রথিবির ভূপৃষ্ঠের প্রতি ইঞ্চি ভুমির পরিমান নির্ণয় এবং ছবি তোলা ।image_galleryডোভস-১ এর পরিকপনা। মহাকাশ বিজ্ঞানী ক্রিসের চাঁদ নিয়ে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের মিশন বাতিল হয় ।এর পরে তারা নতুন পরিকল্পনা করে বক্স-আকৃতির স্যাটেলাইট স্থাপন করবে যা আকারে ছোট্ট এবং অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন দ্বারা পরিচালন করা যায় । ডোভস এর তৈরির পরিকল্পনায় এর আকার রাশিয়ান উপগ্রহ স্পুটনিক ছিল, কিন্তু সস্তা এবং অধিক সাক্ষমতার জন্য এর পরিবর্তে তিনি PhoneSat প্রকল্প হাতে নেয় । এই PhoneSat স্যাটেলাইট মহাবিশ্বের ফটো নিতো এবং ম্যাপিং করতো ,এই জন্য phonesat এ একটি স্পুটনিক ক্যামেরা সংযুক্ত ছিল । ডোভস-১ এর নাম করণ। ডোভস-১ এর নাম করণ নিয়ে অনেক তামাশা হয়। মাইক সফিয়ান() বলেন বিজ্ঞানী গন উপগ্রহের নাম নির্ধারণে চিল চোখ এবং নখ এবং Raptor মতো বাজে নাম নিরধারন করেছিল । তাই নাম করনের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ ছিল।প্রায় সকল প্রকৌশলী, মাইক সুফিয়ান এর সাথে কথা বলে নামের ব্যাপারে । মাইক সফিয়ান(Mike Safyan) হটাৎ করে বলেন ‘কেন আমরা আমাদের স্যাটেলাইটকে ঘুঘু ডাকি না? এটাতো অনেকটা ঘুঘুর মতো । তার পরে তারা চিন্তা ভাবনা করে ঘুঘু পাখির নাম ঠিক করে । এবং স্যাটেলাইটের নাম ডোভস-১ সর্বসম্মত হয় ।
ডোভস-১ উড্ডয়ন ।
Antares rocket ২৮ অক্টোবর ২০১৪ সালে ডোভস-১ নিয়ে মহা আকাশ গমন করে । ডোভস-১ কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই পৃথিবীথেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে নিজ কক্ষ পথে পোঁছায় ।
আসুন দেখেনেই ডোভস-১ এর কিছু ডোভস 1 এর পাঠানো পৃথিবীর অসাধারণ ছবি এবং ভিডিও
150311164724-portage-la-prairie-full-super-169
150312165953-aruana-brazil-full-super-169
150311164642-planetlabs-ciudad-juarez-full-super-169
150311164705-planetlabs-sf-super-169
ভিডিও ১ planet website
ভিডিও ২ ইউটিউব
ভিডিও ৩ ইউটিউব
ভিডিও ৪ ইউটিউব
 
How to Lose Weight at Home Top